আপনি কি জানেন বাচ্চারা কতক্ষণ বরফের মধ্যে থাকতে পারে। বাচ্চাদের ত্বক প্রচন্ড
পরিমাণে সেন্সিটিভ হয়। তাই বাচ্চারা কতক্ষণ বরফের মধ্যে থাকতে পারে এই নিয়ে
অনেক গবেষকগণ অনেক ধরনের মতবাদ ব্যক্ত করেছেন। আজ সেই মতবাদ গুলোকে অনুসরণ করেই
আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো বাচ্চারা কতক্ষণ বরফের মধ্যে থাকতে পারে এ
সম্বন্ধে ।
ঠান্ডা আবহাওয়া ও ঠান্ডা জনিত খাবার একটা শিশুর জন্য মারাত্মক অসুস্থতার কারণ
হতে পারে। এমত অবস্থায় বাচ্চারা কতক্ষণ বরফের মধ্যে থাকতে পারে এ বিষয়ে ধারণা
থাকা প্রত্যেকেরই উচিত। তাই আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র: বাচ্চারা কতক্ষণ বরফের মধ্যে থাকতে পারে
ভূমিকা
বাচ্চা ও বয়স্কদের জন্য ঠান্ডা আবহাওয়া মোটেই সুবিধা জনক নয়। তেমনি ঠান্ডা
খাবারও বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। তাই আপনার বাচ্চাকে নিয়ে ঠান্ডা
আবহাওয়া বা বরফের জায়গায় যাওয়ার আগে আপনার বাচ্চারা কতক্ষণ বরফের মধ্যে থাকতে
পারে এ বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ করে নিন। না হলে অতিরিক্ত
সময় বরফের মাঝে থাকার জন্য আপনার বাচ্চা অসুস্থ হতে পারে।আবার অনেক সময়
বেশিক্ষণ বরফের মাঝে থাকার জন্য আপনার বাচ্চার সর্দি লেগে যেতে পারে।
এমন অবস্থায় করণীয় হিসেবে চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ করুন। শুধু তাই নয় হঠাৎ
বাচ্চাদের হালকা পাতলা ঠান্ডা বা সর্দি লেগে গেলে কিছু ঘরোয়া উপায়ও আছে।
বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগলে ঘরোয়া উপায় সম্বন্ধে আপনি ইউটিউব অথবা বিভিন্ন গুগল
সাইট থেকেও পরামর্শ পেতে পারেন। যখন আপনি বরফ যুক্ত ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে
থাকবেন তখন আইসক্রিম খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো।
বাচ্চারা কতক্ষণ বরফের মধ্যে থাকতে পারে
বাচ্চারা কতক্ষণ বরফের মধ্যে থাকতে পারে বা ঠান্ডা আবহাওয়ায় থাকতে পারে এ বিষয়ে
যাচাই বাছাই করার আগে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে যদি তুষার থাকে তবে আপনার শিশুর
হাত এবং পা শুকনো রাখা হয়েছে কিনা। ঠান্ডা আবহাওয়ায় বাচ্চাদের জন্য বাইরে খেলার
সময় সীমিত হওয়া উচিত। বিশেষ করে বাচ্চাদের ঠান্ডা আবহাওয়ায় খেলার সময় ৩০
মিনিটের কম হওয়া উচিত। যদি ঠান্ডা আবহাওয়ার তাপমাত্রা চরম হয় তাহলে শিশুকে
বাইরে খেলতে না পাঠিয়ে ভেতরেই রাখুন।
তুষার জনিত এলাকায় যাওয়ার পূর্বে বাচ্চারা কতক্ষণ বরফের মধ্যে থাকতে পারে এ
বিষয়ে একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে পরামর্শ করে নিতে হবে। তুষার জনিত
এলাকায় বাচ্চাকে নিয়ে গেলে বাচ্চাকে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ভালোভাবে শীতের পোশাক
পরিধান করিয়ে নিন। তবে বাচ্চাকে বেশিক্ষণ তুষারের মধ্যে খেলতে দেওয়া যাবে না।
আরো পড়ুন: ভিডিও ডাউনলোড করার সহজ উপায়
বাসায় নিয়ে আসার পর বাচ্চাকে উষ্ণ গরম স্থানে রাখুন। আর তবুও যদি ঠান্ডা লেগেই
যায় তাহলে বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগলে ঘরোয়া উপায় গুলো অনুসরণ করুন।
তুষারযুক্ত জায়গায় বাচ্চাকে নিয়ে গেলে বাচ্চার খাবারের দিকে বিশেষ খেয়াল
রাখতে হবে। বাচ্চাকে এমন খাবার খাওয়াতে হবে যেন শরীর গরম থাকে। খাবার পানিটিও
কুসুম গরম করে বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে।
বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগলে ঘরোয়া উপায়
সারা বছরই কিন্তু আমাদের ছোট্ট সোনামণিদের ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, লেগেই থাকে।
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বা শীতের মৌসুমে এর প্রকোপ আরো বেড়ে যায়। যদিও
বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগা নাক দিয়ে পানি পড়া একদমই কমন ব্যাপার সেজন্য বাচ্চাদের
ঠান্ডা লাগলে ঘরোয়া উপায় সম্বন্ধে সকলেরই জেনে রাখা দরকার। যদি বাচ্চাদের
ঠান্ডা লাগার একদম শুরু থেকে সঠিক ঘরোয়া চিকিৎসা দেওয়া যায় তাহলে কিন্তু
বাচ্চাদের কোন রকমেরই ঔষধ খাওয়ানো লাগবে না।
তাই বাচ্চারা কতক্ষণ বরফের মধ্যে থাকতে পারে এই বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা যতটা
জরুরী ঠিক ততটাই জরুরী আমাদের ছোট্ট সোনামনির যখন হঠাৎ ঠান্ডা লেগে যাবে তার
নিরাময়ে বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগলে ঘরোয়া উপায় সম্বন্ধে অবগত হওয়া। তাই আমি আজ
আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি বাচ্চাদের জন্য নিরাপদে ঘরোয়া কিছু উপাদানে
তৈরী একটি চমৎকার ওষুধী।
যা বাচ্চাদের সুস্থতা ও সুরক্ষায় খুবই উপকারী। এই ঔষধীটি বাচ্চার ঠান্ডার
সমস্যা, সর্দি, কাশি দ্রুত ভালো করার পাশাপাশি বাচ্চাদের বুকের কফ গুলো গলিয়ে
ফেলতে সাহায্য করে। বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগলে ঘরোয়া উপায় বিষয়ক ঔষধীটি তৈরির
নিয়ম সম্বন্ধে নিচে আলোচনা করা হলো:
কাঁচা তুলসী পাতার সাথে, আদা কুচি, পরিমাণ মতো খাঁটি মধু, ও এক চিমটি হলুদ গুঁড়া
দিয়ে মিশ্রণটি তৈরি করতে হবে। তারপর একটি পাতিলে এক গ্লাস পরিমাণ পানি দিয়ে
তুলসী পাতা, আদা কুচি ও হলুদ দিয়ে চুলায় মিডিয়াম আচে পাঁচ মিনিট জাল দিয়ে
নিতে হবে। পাঁচ মিনিট পর যখন মিশ্রিত পানিটি গাড়ো লাল হয়ে আসবে তখন মিশ্রণটি চা
ছাকনি দিয়ে ছেঁকে একটি পরিষ্কার পাত্রে নিয়ে নিতে হবে।
তারপর মিশ্রিত পানির মধ্যে পরিমাণ মতো মধু দিয়ে দিতে হবে। তবে মনে রাখবেন,
বাচ্চার বয়স যদি এক বছরের নিচে হয় তাহলে মধুর পরিবর্তে আখের গুড় দিলেও হবে।
এখন মিশ্রণটি তৈরি হয়ে গেল। এটা আপনারা এক বছরের নিচে বাচ্চাকে দিনে দুই থেকে
তিন বার এক চামচ করে খাওয়াতে পারেন। আবার এক বছরের উপরে বাচ্চাকে দুই চামচ করে
দিনে দুই থেকে তিন বার দিতে পারে। তবে বাচ্চাকে ওষুধীটি খাওয়ানোর আগে একটু কুসুম
গরম করে নিবেন।
বাচ্চাদের সর্দি হলে করণীয়
বাচ্চারা কতক্ষণ বরফের মধ্যে থাকতে পারে এ বিষয়ে যখন একজন মা কোন চিকিৎসকের কাছে
অথবা কোন ইউটিউব টিউটোরিয়াল বা গুগল থেকে রিসার্চ করার চেষ্টা করে ঠিক তখনই
বাচ্চাদের সর্দি হলে করণীয় সম্বন্ধে পর্যালোচনা চলেই আসে। কারণ বরফ একটি কঠিন
পদার্থ হলেও অতিরিক্ত বরফের পানি খাওয়া ও ঠান্ডা আবহাওয়া বাচ্চার স্বাস্থ্যের
জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক। তাই বাচ্চাদের সর্দি হলে করণীয় সম্বন্ধে কিছু
গুরুত্বপূর্ণ টিপস নিয়ে চলে এসেছি আজকের আলোচনায়:
- বাচ্চাদের সর্দি হলে করণীয় গুলোর মধ্যে প্রথমে রয়েছে বাচ্চার গায়ে সরিষার তেল মালিশ করতে হবে।
- বাচ্চার যেন সর্দি-কাশি না হয় এ কথা মাথায় রেখে ঘরে এসি খুব কম টেম্পারেচারে ব্যবহার করতে হবে।
- বাচ্চাদের সর্দি হলে বাচ্চাকে ফ্রিজের পানি বরফের পানি ইত্যাদি গুলো থেকে দূরে রাখতে হবে।
- বাচ্চাদের সর্দি হলে করণীয় গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বাচ্চার সর্দি হলে বাচ্চাকে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে দেয়া যাবে না। এমনকি খাওয়ার সময়ও কুসুম গরম পানি দিতে হবে।
- সিভিট জাতীয় খাবার ভিটামিন-সি জাতীয় খাবার যেমন কমলা লেবুর রস, ডালিমের রস এগুলো বেশি বেশি খাওয়াতে হবে। তাহলে দেখবেন আপনার বাচ্চার সর্দি দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।
আইসক্রিম খেলে কি ক্ষতি হয়
প্রচন্ড গরমে আইসক্রিম খাইনা এমন কোন মানুষ নেই। আইসক্রিম প্রতিটি মানুষের জন্যই
একটি প্রিয় খাবার। শিশু থেকে শুরু করে মধ্যবয়সী এবং বৃদ্ধরাও আইসক্রিম খেতে
খুবই পছন্দ করেন। এমনকি শীতের সময়ও অনেকে আইসক্রিম খেতে খুব পছন্দ করেন। কিন্তু
আপনি জানেন কি আইসক্রিম খেলে কি ক্ষতি হয়। আইসক্রিম আমাদের সবারই পছন্দের খাবার
হলেও আইসক্রিমের কিছু ক্ষতিকারক দিকও আছে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের থেকে জানা যায় যে এক স্কুপ আইসক্রিম থেকে প্রায় ৪০ গ্রাম
স্যাচুরেটেড ফ্যাট পাওয়া যায় আর এই স্যাচুরেটেড ফ্যাট হার্টের জন্য খুবই
ক্ষতিকর। এ ধরনের ফ্যাট হার্টের রক্তনালীতে গিয়ে জমতে পারে। তাই নিয়মিত
আইসক্রিম খেলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাই আইসক্রিম
বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বাচ্চারা আইসক্রিম পেলে যেমন মনের
তৃপ্তিতে সুস্বাদু আইসক্রিমের স্বাদ অনুভব করবে।
তেমনি বাচ্চারা কতক্ষণ বরফের মধ্যে থাকতে পারে এটা যাচাই না করে আপনি যদি আপনার
বাচ্চাকে ঠান্ডা জায়গায় অথবা বরফ যুক্ত এলাকায় খেলা করতে ছেড়ে দেন ওরা মজার
ছলে বহু সময় ধরে খেলতে থাকবে। তাই এ বিষয়ে একজন মাকে সতর্ক হতে হবে। আইসক্রিম
খেলে কি ক্ষতি হয় নিচে আলোচনা করা হলো:
- আইসক্রিম শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আইসক্রিম ক্ষতিকর।
- আইসক্রিম চোখের সমস্যা বাড়ায়।
- আইসক্রিম কিডনির সমস্যা বাড়ায়।
- আইসক্রিম হার্ট এটাকের সমস্যা বাড়ায়।
- আইসক্রিম ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
- আইসক্রিম ফলে গলা ব্যাথার সৃষ্টি হয়।
আইসক্রিম এর উপকারিতা
আইসক্রিম খেলে কি ক্ষতি হয় এ সম্বন্ধে তো আমরা সবাই কম বেশি জানি। কিন্তু আপনি
কি জানেন আইসক্রিম এর উপকারিতা সম্বন্ধে। আইসক্রিম খাওয়ার যেমন ক্ষতিকর দিক
রয়েছে তেমনি আইসক্রিমের উপকারিতা ও রয়েছে । আইসক্রিমে পাওয়া যায় প্রচুর
পরিমাণে এনার্জি, ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট।
আরো পড়ুন: গর্ভবতী মায়ের জাম খাওয়ার উপকারিতা
আইসক্রিম প্রচন্ড পিপাসার্ধ ক্লান্ত শরীরে তৎক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধি করতে দারুণ
সহায়তা করে। মূলত দুগ্ধ জাত পণ্য প্রোটিনের দারুন ভালো উৎস হিসেবে সহায়ক।
আইসক্রিমের প্রচুর পরিমাণে দুধ ও ক্রিম থাকার ফলে এটি আমাদের শরীরে অনেকটাই
প্রোটিনের সরবরাহ করতে পারে। আইসক্রিম এর উপকারিতা সম্বন্ধে নিচে আলোচনা করা হলো:
- আইসক্রিমে ভিটামিন এবং মিনারেল থাকায় মানুষের শরীরে আইসক্রিম এর উপকারিতা ব্যাপক।
- আইসক্রিম দেহ ও মনকে চাঙ্গা ও উদ্দীপ্ত করে।
- আইসক্রিম দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- আইসক্রিম মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
- আইসক্রিম খেলে মেয়েদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
শেষ কথা
উপরিউক্ত আর্টিকেলে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করেছি বাচ্চারা কতক্ষণ বরফের
মধ্যে থাকতে পারে এ সম্বন্ধে। আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি কতটুকু উপকৃত হয়েছেন
আপনার মতামত কমেন্ট বক্সে লিখে যাবেন। আর্টিকেলটি পড়ে যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো
আপনার ভালো লেগেছে সেগুলো আপনার বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এমনই
শিক্ষনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল প্রতিদিন পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখবেন।
এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 26181
Comments
Post a Comment